Friday, February 12, 2016

অবশেষে ধরা দিল মহাকর্ষীয় তরঙ্গ


 আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ (জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি বা জিটিআর) কি নির্ভুল ছিল? তার একশো বছরের পুরনো তত্ত্বের পূর্বাভাসগুলোর মধ্যে কিছুতেই যার সরাসরি দেখা মিলছিল না, সেই মহাকর্ষীয় তরঙ্গও কি এ বার আমাদের নজরে পড়ে গেল?
তার উত্তরটা হয়তো আমাদের এখনও কারও জানা নেই। কিন্তু, একশোটা বছর পেরিয়ে আসার পর হয়তো এ বার আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ সার্বিক ভাবেই প্রমাণিত হতে চলেছে।
হয়তো জট খুলতে চলেছে আইনস্টাইনের বলা সেই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ (গ্র্যাভিটি ওয়েভ)-রহস্যেরও। যা আমাদের এই ‘চেনা’ ব্রহ্মাণ্ডের অনেক অচেনা রূপ আর অজানা কথা ও কাহিনী জানা ও বোঝার একেবারে নতুন একটা জানলা খুলে দেবে। 
১৪০০ কোটি বছর আগে ব্রহ্মাণ্ডের জন্মের সময়ে যে বিস্ফোরণ হয়েছিল (বিগ ব্যাং), সেখান থেকে জন্মানো তরঙ্গই হল মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। যাকে প্রাইমর্ডিয়াল গ্র্যাভিটি ওয়েভও বলে।
একেবারেই একটা ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে একুশ শতকের পদার্থবিজ্ঞান। উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। নির্ভুল ভাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের হদিস পাওয়ার জন্য গত সেপ্টেম্বর থেকে আমেরিকার ওয়াশিংটন স্টেটের হ্যানফোর্ড ও লুইজিয়ানার লিভিংস্টোনে একেবারে সর্বাধুনিক উপায়ে নজরদারি শুরু করেছে ‘লেসার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরি’ (লাইগো)-র দু’টি অত্যাধুনিক সন্ধানী যন্ত্র বা ‘অ্যাডভান্সড্ লাইগো ডিটেক্টর’। যা দেখতে ইংরেজির ‘L’ বর্ণের মতো। আর যার দু’টি ‘হাত’ই চার কিলোমিটার করে লম্বা।
মাস কয়েক আগেই গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, এই প্রথম সেই অত্যাধুনিক লাইগো ডিটেক্টরের ‘নজরে’ পড়েছে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। কিন্তু, তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়নি। 
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ওই তরঙ্গের হদিস পাওয়ার ব্যাপারে একশো ভাগ নিশ্চিত হতে পারেননি বলে।
সেই ‘লাইগো-কনসর্টিয়াম’ এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিশ্বের তিনটি জায়গা থেকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ কিছু আবিস্কারে’র ঘোষণা করতে চলেছে আজ বৃহস্পতিবার। একই সঙ্গে সেই ঐতিহাসিক ঘোষণাটি হতে চলেছে ওয়াশিংটন, ভারতের পুণে আর ইতালিতে। একেবারেই আনুষ্ঠানিক ভাবে, সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে।






No comments:
Write comments

Categories